ভোলায় পুলিশ–বিএনপি সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নুরে আলম নিহতের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ইফফাত জাহান আদালতে মামলা করেছেন। এতে ভোলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিস উদ্দিনকে প্রধান করে পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেনসহ ৪৬ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার কামালের আদালতে এই হত্যা মামলা করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী আমিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সংঘর্ষে নিহত সেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে ৩৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পৃথক একটি মামলা করেন। এ নিয়ে পুলিশ ও বিএনপির সংর্ঘষের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা হলো।
মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেছেন, গত ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তেল–গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম। এ সময় নুরে আলম পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। পরে তাঁকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। তিন দিন পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আইনজীবী আমিরুল ইসলাম বলেন, আদালত আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনসহ যাবতীয় কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়ার জন্য ভোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৩১ জুলাই তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সারা দেশে সমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। ওই দিন ভোলা জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। ঘটনাস্থলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম মাতব্বর ও চার দিন পর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম নিহত হন। আহত হন ৯ পুলিশ সদস্য।