ভারতে মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির প্রতিবাদে বগুড়া ও মেহেরপুরে বিক্ষোভ
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিতের কটূক্তি ও সেই বক্তব্যকে বিজেপির এক নেতার সমর্থন দেওয়ার প্রতিবাদে বগুড়া ও মেহেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার বেলা ১১টায় বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় তৌহিদী ছাত্র-জনতা, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরকারি আজিজুল হক কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এবং দুপুরে মেহেরপুরের গাংনী ডিগ্রি কলেজে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। তিনটি কর্মসূচিতেই বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের নতুন ভবন ক্যাম্পাসে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত আগস্ট মাসে রাসুল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করেন ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ। তাঁকে সমর্থন দেন বিজেপির বিধায়ক নীতেশ নারায়ণ রানে। এ দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও এখনো রাজ্য সরকার তাঁদের গ্রেপ্তার করেনি। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে মহারাষ্ট্রের মুসলিম জনতা। তাঁরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। মহানবী (সা.)-কে অবমাননাকারীদের গ্রেপ্তার করে সঠিক বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।
এর আগে শহরের সাতমাথায় তৌহিদী ছাত্র-জনতা আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতির বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করলেও বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ঘটলেই ভারত উসকানি দেয়। তারা অপপ্রচার চালায়, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নেই। হিন্দুরা স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করতে পারেন না। অথচ ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানেরা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হয়ে আসছেন। স্বাধীনভাবে তাঁরা ধর্ম পালন করতে পারেন না। মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির জন্য ভারতকে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
এদিকে মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির প্রতিবাদে মেহেরপুরের গাংনীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাংনী ডিগ্রি কলেজের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ব্যানারে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। এ সময় ভারতবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
মিছিলটি কলেজ প্রাঙ্গণে ফিরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাসুল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে মহারাষ্ট্রের মুসলিম জনতা। তাঁরা কটূক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। মহানবীকে অবমাননাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারতকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।