হত্যার পর দাফনে সহযোগিতা করেন আসামিরা, অবশেষে গ্রেপ্তার
নওগাঁয় জাহিদুল ইসলাম (৪১) নামের এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সফিউল সারোয়ার।
হত্যাকাণ্ডের শিকার জাহিদুল ইসলাম পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের কোতালী গ্রামের মৃত অছিমুদ্দিনের ছেলে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পত্নীতলা উপজেলার কোতালী গ্রামের গুলজার হোসেনের ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৬), ইসমাইল হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫) ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোহাম্মদ রাজু হাসান (৩২)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে জাহিদুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যার পর মৃতদেহটি একটি কালভার্টের নিচে ফেলে রেখে যান আসামিরা। পরদিন জাহিদুলের লাশ পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় কালভার্টের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় জাহিদুলের স্ত্রী মহাদেবপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গতকাল সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পত্নীতলা থানা-পুলিশ।
পুলিশ সুপার বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের মোড় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আসামিরা মৃতদেহটি পত্নীতলা থেকে একটি ইজিবাইকে মহাদেবপুরে এনে গুমের চেষ্টা করেছিলেন। এ ছাড়া আলামত ধ্বংসের উদ্দেশ্যে জাহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি একটি মাঠের মধ্যে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর আসামিরাই জাহিদুলের লাশ উদ্ধারসহ দাফন–কাফন কাজে সহযোগিতা করেছেন, যাতে তাঁদের কেউ সন্দেহ না করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পূর্বশত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, ফারজানা হোসেন, মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসমত আলীসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।