গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে এবার কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রধান কার্যালয়ের

গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে প্রধান কার্যালয়। গতকাল রোববার এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) আবদুর রশীদ মিয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে। আজ সোমবার গাইবান্ধা এলজিইডি কার্যালয় থেকে এ–সংক্রান্ত চিঠি গণমাধ্যমের কাছে আসে।

যৌথ বাহিনীর সদস্যরা গত বৃহস্পতিবার রাতে নাটোর–বগুড়া মহাসড়কে যানবাহনে তল্লাশি করছিলেন। দিবাগত রাত দুইটার দিকে বগুড়া থেকে নাটোর অভিমুখে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে তল্লাশির সময় গাড়ির পেছনের ডালায় বিপুল পরিমাণ টাকা দেখতে পান তাঁরা। এ সময় গাড়িতে থাকা আরোহী ছাবিউল ইসলাম নিজেকে গাইবান্ধার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয় দেন। পরে তাঁকে ও গাড়ির চালককে সিংড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন

তদন্তকারী কর্মকর্তা তলব করামাত্র হাজির হবেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় এমন শর্তে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান ছাবিউল ইসলাম। এ সময় তিনি ওই টাকা তাঁর জমি বিক্রির টাকা বলে দাবি করেন। তবে এর সমর্থনে ছাবিউল কোনো প্রমাণ দিতে না পারায় পুলিশ ওই টাকা ও টাকা বহনকারী গাড়িটি জব্দ করে। ওই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন নাটোরের সিংড়া আমলি আদালত।

আরও পড়ুন

এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম ১৩ মার্চ কর্মস্থল ত্যাগ করেন। ফলে জরুরি প্রয়োজনে কর্মস্থলে তাঁকে না পাওয়ায় সরকারি কাজে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। ওই প্রকৌশলীর কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণের শামিল ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। চিঠিতে ছাবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা চিঠি পাওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে।

কারণ দর্শানোর চিঠিটি পেয়েছেন কি না, এ বিষয়ে জানতে আজ সন্ধ্যায় ছাবিউল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

২০০৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে গাইবান্ধা জেলায় এসেছিলেন মো. ছাবিউল ইসলাম। বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী। ২১ বছর তিনি গাইবান্ধা জেলাতেই কর্মরত আছেন। মাঝখানে তাঁকে বরিশালে বদলি করা হলেও ২৩ দিনের মাথায় আবারও গাইবান্ধায় চলে আসেন। সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী, একজন সরকারি কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে টানা তিন বছরের বেশি থাকার কথা নয়।