ঘন কুয়াশায় স্পিডবোট বন্ধ, কুমিরা ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা নৌঘাটে টিকিট কাউন্টারের সামনে সন্দ্বীপগামী যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। কুমিরা জেটির মালামাল তোলার ঘাটেও মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে। কিন্তু টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে কুমিরা নৌঘাটে গিয়ে দেখা গেল এ দৃশ্য। কেউ কেউ দুই ঘণ্টা আগে থেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অপেক্ষা করছেন, কিন্তু টিকিট দিচ্ছিল না ঘাট কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাগরে ঘন কুয়াশা থাকায় স্পিডবোট ছাড়ছে না তারা। জোয়ার খালে প্রবেশ করলে মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রলার ছাড়া হবে। পর্যাপ্ত নৌযান ছাড়তে না পারায় মানুষের চাপ বেড়েছে।
স্কুল–কলেজে শীতকালীন ছুটি শুরু হয়েছে। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সন্দ্বীপ বেড়াতে যাচ্ছেন অনেকে। সন্দ্বীপের নারী উদ্যোক্তা সাথী আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের চার সদস্যকে নিয়ে ঘাটে অপেক্ষা করছেন তিনি। যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রলারের টিকিট পাননি। স্পিডবোটের টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইন। কখন টিকিট পাবেন, জানেন না। আদৌ সন্দ্বীপে যেতে পারবেন কি না, সেই উৎকণ্ঠায় আছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের ছয়টি দীর্ঘ লাইন। ভেতরে যাত্রীছাউনিতে প্রচুর মানুষ বসে রয়েছেন। স্পিডবোট বেশির ভাগই তুলে রাখা হয়েছে উপকূলে চরের ওপর। মালবাহী ট্রলারে মালামাল ভর্তি করার পর যাত্রীরা উঠে বসছেন। এ ছাড়া ঘাটের দুটি জেটিতেও মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থেকে এসে ঘাটে অপেক্ষা করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী মিনহাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তিন বন্ধুকে নিয়ে ঘাটে এসেছিলেন তিনি। প্রচুর যাত্রী ছিল। ফলে রাত ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও সন্দ্বীপ যেতে পারেননি। আজ সকাল ৭টায় এসে দেখেন অবস্থা গতকালের চেয়েও বেগতিক। কোনো নৌযান ছাড়ছে না। মালবাহী ট্রলারের টিকিট পেয়েছেন। কিছুক্ষণ পর জোয়ার এলে ট্রলার ছাড়লে তাঁরা যাবেন।
ঘাটে কথা হয় মালবাহী ট্রলারের মাস্টার কুতুব উদ্দিন সুজনের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যে কয়টি ট্রলার রয়েছে, তার ধারণক্ষমতার নির্ধারিত টিকিট বিক্রি করেছেন। যাত্রীদের প্রচুর চাপ। মালবাহী ট্রলারে টিকিট ছাড়াও জোর করে উঠে যেতে চাচ্ছেন যাত্রীরা।
ঘাটের ইজারাদার জগলুল হোসাইন নয়ন বলেন, স্কুল–কলেজের শীতকালীন ছুটি হওয়ায় যাত্রীদের কিছুটা চাপ রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হয়েছে কুয়াশার কারণে নৌযান ছাড়তে না পারা। নৌযান চলাচল শুরু হলে যাত্রীদের দ্রুত পারাপার করা সম্ভব হবে।