পাটগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কাল সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক

বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে রোববার সন্ধ্যায় পাটগ্রাম উপজেলা সদরে বিক্ষোভ করে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ। ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়
ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে উপজেলা সম্মিলিত নাগরিক সমাজ। রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এক বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সন্ধ্যায় সম্মিলিত নাগরিক সমাজের উদ্যোগে পাটগ্রামের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।

আরও পড়ুন

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, সম্মিলিত নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক সমশের আলী বক্তব্য দেন। সমাবেশে বক্তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন। এ সময় স্থানীয় ব্যক্তিদের সোমবার হরতালের সময় যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় পৌর বাজারের ব্যবসায়ীদের দুটি সংগঠন হরতালের সঙ্গে একাত্মতার ঘোষণা দেয়।

২০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাটগ্রাম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ পূর্ব পাড়ার পোস্ট অফিসপাড়া বাসার ফটকের সামনে এম ওয়াজেদ আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

আরও পড়ুন
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী
ছবি: সংগৃহীত

এম ওয়াজেদ আলী পাটগ্রাম মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন। এ ছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর প্রয়াত বড় ভাই আবিদ আলী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য। পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন তাঁর ভাগনে।

ঘটনার পর নিহতের ছোট ছেলে মো. রিফাত হাসান (২৯) বাদী হয়ে নিউ পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মো. নাহিদুজ্জামান ওরফে বাবুকে (২৫) প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে নাহিদুজ্জামান পলাতক। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২৩ জানুয়ারি আলমগীর হোসেন (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

আরও পড়ুন

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, আসামি আলমগীর হোসেন প্রধান আসামির ঘনিষ্ঠ বন্ধু। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে আবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। প্রধান আসামিসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।