ঝিকরগাছায় জমিজমার বিরোধে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

কামরুজ্জামান
ছবি: সংগৃহীত

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে কামরুজ্জামান (৫৫) নামের যুবলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের ছোট্ট পোদালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কামরুজ্জামান উপজেলার ছোট্ট পোদালিয়া গ্রামের নুরুল হক সরদারের ছেলে। তিনি শংকরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ছিলেন। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ছোট্ট পোদালিয়া গ্রামের রুহুল আমীন সরদারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০) এবং তাঁদের ছেলে আতাউর রহমান সরদার।

পুলিশ ও নিহত কামরুজ্জামানের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের ছোট্ট পোদালিয়া গ্রামের বাসিন্দা উসমান আলী ও হোসেন আলীদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে নিহত কামরুজ্জামানের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। আজ বিকেলে বিরোধপূর্ণ জমিতে উসমান আলী পক্ষের লোকজন সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করলে কামরুজ্জামান বাধা দেন। এ সময় কামরুজ্জামানের সঙ্গে উসমান আলীদের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উসমান আলী ও হোসেন আলী বাড়ি থেকে হাঁসুয়া এনে কামরুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। এ সময় প্রতিবেশী আতাউর রহমান ও আনোয়ারা বেগম এগিয়ে গেলে তাঁদেরও কোপানো হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁদের তিনজনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কামরুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) পার্থ প্রতীম চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই একজনের মৃত্যু হয়। অন্য দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত আতাউর রহমানের স্ত্রী শান্তা রহমান বলেন, জমিতে সীমানাপ্রাচীর দেওয়া নিয়ে গন্ডগোল শুরু হয়। প্রতিবেশী উসমান আলী ও হোসেন আলীরা হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে কামরুজ্জামানকে হত্যা করেন। তাঁর স্বামী-শাশুড়ি এগিয়ে গেলে তাঁদেরও কোপানো হয়। ঘটনার পর উসমান আলী, হোসেন আলী এলাকাছাড়া। অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, জমিজমা নিয়ে চাচাতো ভাইদের মধ্যে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।