ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তিন ঘণ্টা ছিল ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট, ভোগান্তি
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে আজ বুধবার বিকেল থেকে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মহাসড়কটির কাঁচপুর সেতু থেকে রূপসী মোড় পর্যন্ত এই যানজট দেখা যায়। সিলেটগামী ঈদযাত্রীদের এই যানজট বেশ ভোগান্তিতে ফেলেছে। তবে জেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আজ যানজট দেখা যায়নি।
দূরপাল্লার পরিবহন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে সড়কে দূরপাল্লার পরিবহনসহ যানবাহনের চাপ ছিল বেশি। তবে দূরপাল্লার পরিবহন কাউন্টারগুলোতে যাত্রীর চাপ অতিরিক্ত মনে হয়নি সংশ্লিষ্টদের। অনেক পরিবহন সিট পরিপূর্ণ না করেও সড়কে চলাচল করেছে। বিকেল থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অন্তত ছয় কিলোমিটারজুড়ে তৈরি হওয়া যানজট যাত্রীদের ভোগান্তির কারণ হয়েছে।
এই সড়কের পরিবহন ব্যবসায়ী ওমর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ সড়কে গাড়ি ছিল বেশি। বিকেল সাড়ে চারটার পর কাঁচপুর থেকে রূপসী পর্যন্ত লম্বা সময় ধরে যানজট তৈরি হয়। এই যানজট যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলেছে।’ রাত আটটার দিকে ওমর হোসেন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজট কেটে গেছে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পরিবহনচালক, যাত্রী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহাসড়কটির কাঁচপুর সেতুর পূর্ব ঢাল থেকে ভুলতা মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার সড়কে প্রতিদিন যানজট থাকে। এই মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে দীর্ঘদিন ধরে চলা উন্নয়নকাজের জন্য এমন যানজট তৈরি হয় বলে জানান তাঁরা।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলকারী ‘যাতায়াত’ পরিবহনের চালক আবু মুসা প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কের উন্নয়নকাজ শেষই হয় না। দিনের পর দিন এই রাস্তায় জ্যাম লাইগা থাকে। কাঁচপুর থেইকা ভুলতা পর্যন্ত আধা ঘণ্টার রাস্তা পার হইতে আজকে আমার আড়াই ঘণ্টা লাগছে। কাল থেইকা গাড়ির চাপ বাড়লে কী হয়, তা খোদাই জানে।’
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি এক লেন থেকে ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান থাকায় যানজট তৈরি হয়। তবে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঈদের আগে ও পরে সাত দিন মহাসড়কগুলোতে জরুরি সেবা ব্যতীত পণ্যবাহী যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার।