গাজীপুরের শ্রীপুরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গুলির অভিযোগে করা মামলা থেকে একজনের নাম প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে একটি কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রীপুরের জৈনাবাজার এলাকায় এই মানববন্ধন হয়। এ সময় তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
মানববন্ধনকারী শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহাসড়ক অবরোধ করায় এক ঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জৈনাবাজার এলাকার আব্দুল আউয়াল ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে ২০ জানুয়ারি শ্রীপুর থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় আরও ৭৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত বছরের ৩ আগস্ট শ্রীপুরের বকুলতলা মোড় এলাকায় ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মো. বাপ্পির মা মোসা. মেঘলা মামলাটি করেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আবদুল আওয়াল ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার বলেন, আতাউর রহমানের নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িত নন। অতি দ্রুত মামলা থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান। আরেক শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান।
মামলার বাদী মোসা. মেঘনার বক্তব্য জানতে আজ বেলা দুইটার দিকে তাঁর মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, মানববন্ধন ও অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বেলা একটার দিকে তাঁরা সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ একজনের মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলায় অন্যান্য আসামির সঙ্গে আতাউর রহমানের নাম আছে।