কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা ১১ টায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। মামুনুল হকের ছেলে জিমামুল হক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আব্বু মুক্তি পেয়েছেন।’
মামুনুল হককে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে মোট ৪১টি মামলা রয়েছে। সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর কারামুক্ত হলেন তিনি। সর্বশেষ গত ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা একটি মামলায় মামুনুল হক জামিন পান।
২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক কয়েকটি দল বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয়। ওই সময় ঢাকায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে সহিংস ঘটনায় আলোচিত ছিলেন মামুনুল হক। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জে হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
ওই ঘটনার পর পরই রাজধানীর পুরান ঢাকার একটি এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে নতুন করে বিতর্কে জড়ান মামুনুল হক। তুমুল বিতর্কের মধ্যেই ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের এক রিসোর্টে তিনি এক নারী সঙ্গীকে নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। সঙ্গে থাকা নারী সঙ্গীকে নিজের স্ত্রী দাবি করেন। এর পর তাঁর অনুসারীরা হামলা করে মামুনুলকে সেখান থেকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়। ১৫ দিন পর পুলিশ মোহাম্মদপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
মামুনুল হক হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। খেলাফত মজলিস ও মামুনুল হকের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা ছিল। সবগুলোতে তিনি জামিনে ছিলেন। ২০২১ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে আরও ৩০টি মামলা হয়।