ঢাকার দোহারে স্থানীয়দের মধ্যে রাসেল ভাইপার আতঙ্ক
ঢাকার দোহারের চরাঞ্চলে বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের আনাগোনার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সম্প্রতি কয়েকটি এলাকায় সাপটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ফলে উপজেলার নারিশা, বিলাশপুর ও নয়াবাড়ি ইউনিয়নের পদ্মার তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে রাতদিন কাটাচ্ছেন।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপের আনাগোনা বেড়েছে। সাপটি মারাত্মক বিষধর হওয়ায় এর কামড়ে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারান অনেকে। তাই চরমভাবে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চলমান মৌসুমে দোহারের বিভিন্ন স্থানে বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ দেখা গেছে। বিলাশপুরের মাঝিরচর ও নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বাহ্রাঘাট এলাকা দিয়ে রাসেল ভাইপার পদ্মা নদী হয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। সম্প্রতি রাসেল ভাইপার শনাক্ত করে পিটিয়ে মেরেও ফেলা হয়েছে। তাঁরা ধারণা করছেন, বর্ষার নতুন পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় রাসেল ভাইপার দেখা গেছে।
শাহিন মোল্লা নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘এই প্রজাতির সাপ খুব ভয়ংকর ও মারাত্মক। তাই বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত ও ভয়ে আছি।’
শাহিন মোল্লা আরও বলেন, বাড়ির শিশুরা নদীর পাড়ে খেলা করে; সেখানে সাপের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে ঝুঁকি বাড়বে।
এদিকে নয়াবাড়ি এলাকার মো. সিদ্দিক হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমাদের এলাকায় রাসেল ভাইপার দেখে পিটিয়ে মেরেছেন স্থানীয় লোকজন। এটি এখন আমাদের এই অঞ্চলের জন্য আতঙ্ক। প্রশাসনসহ সবাইকে এ বিষয়ে সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো দরকার।’
রাসেল ভাইপার সম্পর্কে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, বর্ষাকালে রাসেল ভাইপার ভারত থেকে পদ্মা নদীর মাধ্যমে দেশে আসতে পারে। তাই সবাইকে সাবধানে চলাচল করতে হবে, বিশেষ করে যাঁরা পদ্মা নদীর তীরে বসবাস করেন। তিনি আরও বলেন, কাউকে সাপে কাটলে ওঝার কাছে না গিয়ে সরাসরি চিকিৎসকের কাছে আসতে হবে।