২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

‘ক্রসফায়ারে’ মৃত্যু: ৯ বছর পর যশোরের সাবেক এসপিসহ ৮ জনের নামে মামলা

যশোর জেলার মানচিত্র

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে যশোরের সাবেক পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ আটজনের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে নিহত আবু সাঈদের স্ত্রী পারভীন খাতুন বাদী হয়ে যশোর জজ আদালতে মামলাটি করেন।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদ অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের খুলনা বিভাগীয় ডিআইজিকে আদেশ দিয়েছেন।

আনিসুর রহমান ২০১৪ সালের ২৪ মার্চ যশোরের পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন। ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট পর্যন্ত তিনি ওই দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বর্তমানে রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি পদে কর্মরত রয়েছেন। নিহত আবু সাঈদের বাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামে। ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন মনিরামপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্যা খবির আহমেদ, উপপরিদর্শক (এসআই) তাসমীম আহমেদ, এসআই শাহীন, দুর্গাপুর গ্রামের দুর্গাপদ সিংহের ছেলে সুব্রত সিংহ, জিনার আলীর ছেলে মতিউর রহমান, জয়পুর গ্রামের নওশের আলীর ছেলে মোন্তাজ আলী এবং খোরদোগাংড়া গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে ফিরোজ আহমেদ।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের বাজারে পল্লিচিকিৎসক বজলুর রহমানের দোকান থেকে আবু সাইদকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে মারপিট করে গাড়িতে করে থানায় নেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন খোঁজ নিতে গেলে জানানো হয়, পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাঁকে আটক করা হয়েছে। এরপর তাঁকে একটি পেন্ডিং মামলায় আটক দেখানো হয়। এ সময় ওসি খবির আহমেদ আওয়ামী লীগ নেতা মমতাজ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। মমতাজ আলী তখন মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হলে তিনি জানান আবু সাঈদ বিএনপি করেন এবং তাঁর নাম ক্রসফায়ারের ১ নম্বর লিস্টে আছে।

আরও পড়ুন

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ওই রাতে আবু সাঈদকে থানায় মারপিট করা হয়। গভীর রাতে তাঁকে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বেগারিতলা এলাকায় নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে পরিবারকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত করে লাশ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পুলিশি হেফাজতে আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করতে গেলে তাঁদের হুমকি–ধমকি দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আসায় তিনি (পারভীন খাতুন) আদালতে এ মামলার করেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শহীদ ইকবাল হোসেন বলেন, মামলা আমলে নিয়ে আদালত পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই মামলায় পুলিশের চারজন এবং পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় চারজনকে আসামি করা হয়েছে।