রাঙামাটিতে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

রাঙামাটি শহরের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার বনরূপা বাজারে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। সহিংসতার তিন দিন পর শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আজ সকালে তোলাসুপ্রিয় চাকমা।

রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতা ঘটনার তিন দিন পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় আজ সোমবার শহরের একমাত্র যোগাযোগমাধ্যম সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল শুরু করেছে; পাশাপাশি দোকানপাট ও অফিস-আদালত খুলেছে। শহরের প্রধান বাজার বনরূপা কাঁচাবাজারে শুরু হয়েছে বেচাকেনা। তবে ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের কারণে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল করছে না।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সহিংস ঘটনার দুই দিন পর স্বাভাবিক হয়ে আসায় গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসন রাঙামাটি পৌর শহরে জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নেয়। আজ সকল থেকে শহরে অটোরিকশা চলাচল করছে। এর আগে গতকাল সন্ধ্যার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন পরিবহনের মালিক-শ্রমিকেরা। সহিংস ঘটনায় তাঁদের যানবাহনে হামলা-ভাঙচুর করায় বাস, ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও শ্রমিক সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল।

সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাঙামাটি শহরের বনরূপা ও নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি-বাঙালিরা বাজারে আসছেন। দোকানপাটও খুলেছে। বনরূপা বাজারে সবজি বেচাকেনা হচ্ছে। যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা ছড়িয়ে থাকা কাচ, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপর দেখা গেছে। বনরূপা পুলিশ বক্স এলাকা, হ্যাপির মোড় ও নিউমার্কেট এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে ঢিল ছোড়াকে কেন্দ্রে করে পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতা ঘটনার পর পরিবহন ধর্মঘট ও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

রাঙামাটি সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যার দিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে শহরের অটোরিকশা চলাচল করছে। বাস–ট্রাক চলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে বলে তিনি জানান।