বাগেরহাটে সড়কে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করা শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

মারধরে আহত শিক্ষার্থী সিয়ামকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেছবি: প্রথম আলো

বাগেরহাটে সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করা এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ষাটগম্বুজ মসজিদের সামনের খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্কুলছাত্র সিয়াম সরদার তামিমকে (১৭) উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সিয়াম সরদার বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের সুন্দরঘোনা গ্রামের বিল্লাল সরদারের ছেলে। সে বাগেরহাটের দশানী যদুনাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ শ্রেণির কারিগরি (ভোকেশনাল) শাখার শিক্ষার্থী।

সিয়ামের সহপাঠীরা জানায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ না থাকায় সড়কে যান চলাচলের শৃঙ্খলা রক্ষায় শিক্ষার্থীরা কাজ শুরু করেন। তা দেখে কয়েক বন্ধু মিলে নিজেরাও এমন উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর কয়েক দিন ধরে ষাটগম্বুজ মসজিদের সামনের খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কে তারা কাজ করছে। এতে সবাই তাদের সহযোগিতাও করছিলেন। গতকাল বিকেলেও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সেখানকার সড়ক বিভাজনে কাজ করছিলেন।

আহত সিয়ামের বন্ধু রবিউছানি প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যার কিছু আগে স্থানীয় শেখ রানা নামের এক যুবক রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে অন্য পাশের দোকান থেকে কিছু কিনতে পাঠান এক ছেলেকে। তখন সেখানে দায়িত্বে থাকা সিয়াম তাঁকে রাস্তার ওপর থেকে সরে যেতে বলে। কিন্তু সেই যুবক না সরে গিয়ে তর্ক করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি সিয়ামকে মারধর শুরু করেন। পরে অন্যরা এগিয়ে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

হাসপাতালে সিয়ামের চাচা মো. জাহাঙ্গীর শেখ বলেন, মারধরের পর কয়েকজন এসে জিআই পাইপ নিয়ে সেখানে থাকা শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়ে যায়। কেন তারা রাস্তায় ডিউটি করছে, কারা বলেছে, দেখে নেবে বলে গেছে। সিয়ামের অণ্ডকোষে নয়টি সেলাই লেগেছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শেখ রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্তা নেওয়া হবে।