বিএনপি মনে করে এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেওয়া সম্ভব: মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপি মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার চাইলে আগামী এপ্রিলের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। নির্বাচনসংক্রান্ত যেসব সংস্কার করা দরকার, দ্রুত অন্তর্বর্তী সরকার তা করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সোমবার দুপুরে বরিশালে সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার হাজিরা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হাফিজ উদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন। সোমবার মামলাটির অভিযোগ গঠনের দিন ছিল। মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দল এরই মধ্যে জানিয়েছে যুক্তিযুক্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চায়। নির্বাচিত সরকার ছাড়া যত জ্ঞানীগুণী লোকের সরকারই হোক, সেগুলো দুর্বল সরকার। ড. ইউনূসকে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে, ভবিষ্যতেও সমর্থন দিয়ে যাবে। তবে নানাজনের কথায় তিনি যেন প্রভাবিত না হন, এই আশা তাঁদের।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা রাহুমুক্ত হয়েছি, স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের দুর্নীতি, নানা অপকর্ম, মানি লন্ডারিং, গায়েবি মামলাসহ সব ধরনের অত্যাচার-অনাচার থেকে দেশের মানুষ রক্ষা পেয়েছে। আজ যে দ্রব্যমূল্যেরও ঊর্ধ্বগতি, তা ফ্যাসিস্ট সরকারেই অবদান। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য, জনজীবনে শান্তিশৃঙ্খলা বিধানের জন্য দেশে একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভোলার লালমোহন থানায় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওই মামলা করা হয়। মামলার বাদী ছিলেন লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও বদরপুর (দক্ষিণ) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল হক।
হাফিজ উদ্দিনের মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. নাজমুল হাসান বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-৩ আসনের বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম)। ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর লালমোহন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসভবনে অবস্থান করে মুঠোফোনে বলা কথার একটি রেকর্ড ফাঁস হয়। এ ঘটনায় পরস্পর যোগসাজশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য ওয়েবসাইট ও ডিজিটাল মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়। পরে লালমোহন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বশির আলম ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট দুজনকে অভিযুক্ত করে এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন।