ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার সকাল থেকে সেখানে অবস্থান নিয়ে উপাচার্যবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের ‘কণ্ঠসদৃশ’ কথোপকথনের তিনটি অডিও ক্লিপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার জেরে ‘অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের’ ব্যানারে এই আন্দোলন চলছে।
এর আগে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দিনের বিভিন্ন সময় ‘ফারাহ জেবিন’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের ‘কণ্ঠসদৃশ’ কথোপকথনের তিনটি অডিও ক্লিপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টের ক্যাপশনে পোস্টদাতা লিখেছেন, ‘গত ২৫ অক্টোবর ২০২২ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় তাঁর পছন্দের প্রার্থী অলিউর রহমান অলিকে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পুনর্বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেই প্রার্থীকে আবার নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রশ্ন সরবরাহ করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম।’
অডিওতে কথা বলা কণ্ঠটি উপাচার্যের কি না, সেটি যাচাই করা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অডিও তিনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের নিয়োগ বোর্ড স্থগিতের বিষয় নিয়ে নিয়োগপ্রার্থী ও বর্তমানে ওই বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক অলিউর রহমানের সঙ্গে উপাচার্যের ‘কণ্ঠসদৃশ’ ওই ব্যক্তির আলাপন হয়। তবে অডিওতে অলিউর রহমানের কথা শোনা যায়নি।
ওই অডিও ক্লিপের সূত্র ধরে অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ ব্যানারে গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দেন। এ সময় বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা উপাচার্যের অপসারণ দাবি করেন এবং তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে উপাচার্যের কার্যালয় খোলার আগেই আরেকটি তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। প্রশাসন ওই তালা ভাঙার প্রস্তুতি নিলে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা উপাচার্যের অপসারণ দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কার্যালয়ে তালা ঝুলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া বলেন, উপাচার্য তাঁর বাসভবনের কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সহ-উপাচার্য মাহবুবুর রহমান, প্রক্টর শাহাদাত হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সেখানে ডেকেছেন। তাঁরা সেখানে যাচ্ছেন।