মোরেলগঞ্জে হাসপাতালে ঢুকে দুই চিকিৎসকসহ তিনজনকে মারধর

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে দুই চিকিৎসককে মারধর করেছে একদল দুর্বৃত্ত। আজ বুধবার এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার চন্দন দাসের মুঠোফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, আজ বেলা পৌনে একটার দিকে হঠাৎ ২০ থেকে ২৫ দুর্বৃত্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে থাকা উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার চন্দন দাসকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে যায়। পরে বিভাগের সামনে নিয়ে তারা তাঁকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা তনুশ্রী ডাকুয়া ও রেজোয়ানা মেহজাবিন ঠেকাতে গেলে তাঁদেরও মারধর করে হামলাকারীরা। এ সময় তারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) শর্মী রায়কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

মারধরের শিকার রেজোয়ানা মেহজাবিন বলেন, ‘শিমুল শেখ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির নেতৃত্বে হামলাকারীরা হাসপাতালে এসে তাঁদের মারধর করে। চন্দন দাসকে মারতে দেখে আমি ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তনুশ্রী ডাকুয়া ঠেকাতে গেলে তারা আমাদেরও মারধর করে।’

হামলায় শিমুলের সঙ্গে দুটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিও অংশ নিয়েছিলেন উল্লেখ করে রেজোয়ানা মেহজাবিন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে ভেতরেও আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার চন্দন দাস বলেন, ‘জরুরি বিভাগে রোগীদের সেবা দিচ্ছিলাম। এ সময় আকস্মিক একদল লোক আমাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে মারধর করতে থাকে। তারা আমার মুঠোফোন ও মানিব্যাগও নিয়ে গেছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শর্মী রায় বর্তমানে প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকায়। আজ সন্ধ্যায় হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে ঢুকে হামলার বিষয়টি সিভিল সার্জনসহ স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানা ও সেনাবাহিনীর ক্যাম্পেও অভিযোগ করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য শিমুল শেখের মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘চিকিৎসকদের জন্য এটা খুবই হতাশাজনক একটা ঘটনা। আমরা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব। হামলার কারণ এবং হামলাকারীদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে জানানো হচ্ছে।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন