পছন্দের পোশাক কিনে না দেওয়ায় কান্নাকাটি, রাতে কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ঝুলন্ত মরদেহ
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের ভাষ্য, ঈদ উপলক্ষে পছন্দের পোশাক কিনে না দেওয়ায় গতকাল রোববার ওই কিশোরী অনেক কান্নাকাটি করেছে। রাতে শোবার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাত ৯টার দিকে, ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাতে খাবার খেয়ে ওই কিশোরী নিজ কক্ষে ঘুমাতে যায়। রাত ৯টার দিকে তার ছোট ভাই ওই কক্ষে গিয়ে দেখে, ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ ঝুলছে। এ সময় মা–বাবাসহ বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসে। পরে সবাই মিলে কিশোরীর মরদেহটি আঁড়ার ওপর থেকে নামিয়ে অচেতন অবস্থায় সদরপুর বিশ্ব জাকের মঞ্জিল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্বজনদের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. তাজুল ইসলাম জানান, গতকাল বিকেলে ঈদের পোশাক কিনতে মায়ের সঙ্গে সদরপুর বাজারে গিয়েছিল ওই কিশোরী। দাম বেশি হওয়ায় তাকে পছন্দের পোশাক কিনে দিতে পারেননি মা। মেয়ের অমতে অন্য একটি পোশাক কিনে বাড়িতে ফিরে আসেন ওই নারী। পছন্দের পোশাক কিনে না দেওয়ায় বাড়িতে আসার পর থেকে কান্নাকাটি করছিল ওই কিশোরী। রাতেই তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য আজ সোমবার সকালে লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মো. রিফাত উদ্দিন জানান, জাতীয় সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ভাঙ্গা থানার পুলিশ উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর থেকে যুথি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা করে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।