নারায়ণগঞ্জে ২০ রোজার মধ্যে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের এক মাসের বেতনের সমান ঈদ বোনাস ও সব বকেয়া বেতন–ভাতা পরিশোধের দাবিতে সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। একই সঙ্গে ঈদের আগেই তাঁরা মার্চ মাসের বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আয়োজক সংগঠনের জেলা সভাপতি এম এ শাহীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন, সহসভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জেলার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের জেলার সভাপতি গাজী নূরে আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ঈদ উপলক্ষে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের কাঙ্ক্ষিত ঈদ বোনাস ও সব বকেয়া পাওনা ২০ রোজার মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। কারণ, বর্তমান বাজারে শ্রমিকেরা যে মজুরি পান, তা দিয়ে তাঁদের পরিবারের ব্যয় মেটানো সম্ভব হয় না। অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হয়। এরপরও ১২ মাস টানাটানির মধ্যে ধারদেনা করে চলে। গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সামর্থ্য ও সময়–সুযোগ কোনোটাই থাকে না। ঈদ এলেই কেবল শ্রমিকেরা একটু ভালো খাবার ও নতুন জামাকাপড় কেনার কথা ভাবেন। শ্রমিকদের এই আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন কোনোভাবেই নস্যাৎ করা যাবে না।
বক্তারা বলেন, অতীতে দেখা গেছে, অনেক কারখানার মালিক বেতন–বোনাস নিয়ে কারখানায় সংকট তৈরি করেছেন। কোনো কোনো কারখানার মালিক নামমাত্র বোনাস ৫০০ বা এক হাজার টাকা দিয়ে শ্রমিকদের বিদায় করেছেন। আবার কোনো মালিক সেটিও দেননি। এবার সরকারি নিয়মে শিল্পকারখানার শ্রমিকদের এক মাসের (বেসিক) বেতনের সমান ঈদ বোনাস দিতে হবে। ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি পাঁচ দিন ভোগ করতে দিতে হবে। কোনো ধরনের বৈষম্য করা চলবে না। পাশাপাশি ঈদের ছুটির আগে মার্চ মাসের পূর্ণ বেতন দিতে হবে। এ ব্যাপারে বিকেএমইএ, বিজিএমইএ ও সরকারের পক্ষ থেকে আগেভাগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা।