ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের সমর্থক ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. ছোহরাব শেখ (৪০) ও তাঁর সহযোগীরা এ হামলা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কানাইপুর ইউনিয়নের রায়কাইল এলাকায় শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে রায়কাইল গ্রামের মো. আলমগীর প্রধানিয়া (৩০) বাদী হয়ে গতকাল সকাল ১০টায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০–২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আলমগীর প্রধানিয়া বলেন, তিনি ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থনে এলাকায় কাজ করছেন। এ আসনের আওয়ামী প্রার্থী শামীম হকের পক্ষে কাজ করতে ছোহরাব শেখ নানাভাবে চাপ দিচ্ছিলেন। শনিবার রাতে তিনিসহ কয়েকজন রাত নয়টার দিকে স্থানীয় ইয়াছিন ব্যাপারীর চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় ছোহরাব শেখসহ ৩০–৪০ জন তাঁদের ওপর দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান, দোকানপাটে ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আলমগীর আরও বলেন, হামলাকারীরা তাঁকে বলতে থাকেন, ‘আজাদ সাহেবের নির্বাচন যারা করবে, তাদের মাইরা হাড়গোড় ভেঙে দেওয়া হবে।’
অভিযোগ সম্পর্কে সাবেক ইউপি সদস্য মো. ছোহরাব শেখ বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা এখনো শুরু হয়নি। অথচ শনিবার রাত নয়টার দিকে স্থানীয় এক চায়ের দোকানে মো. আলমগীর প্রধানিয়া বসে অনেককে চা খাওয়াচ্ছিলেন এবং আজাদ ভাইয়ের পক্ষে ভোট চাচ্ছিলেন। তাঁদের এক কর্মী প্রতিবাদ করলে আলমগীর তাঁকে গালাগাল করেন। পরে খবর শুনে তিনি গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করতে বললে আলমগীর তাঁকেও গালাগাল করেন। তিনি আলমগীরের বড়। তাঁকে গালি দেওয়ায় তিনি আলমগীরকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এর বেশি কিছু ওই জায়গায় ঘটেনি।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশের দুটি দল পাঠানো হয়। তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।