ঝরনায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঝরনায় ঘুরতে এসে সিফাতুর রহমান মজুমদার (২১) নামের নিখোঁজ এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ঝরনা এলাকায় নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর সিফাতের লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

সিফাত ঢাকার মিরপুর-১ এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের (ইউডা) চারুকলা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার বন্ধুদের সঙ্গে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে এসে বিকেলের দিকে নিখোঁজ হন সিফাত।

সিফাতের সঙ্গে ঘুরতে আসা বন্ধু মেহেদি হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ জন মিলে মঙ্গলবার সকালে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে আসি। সারা দিন ঘুরেফিরে বিকেলে ফেরার পথে সিফাতকে সঙ্গে আসতে না দেখে আশপাশে খুঁজতে থাকি। কোথাও তাঁকে না পেয়ে সন্ধ্যায় মিরসরাই থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করি আমরা।’ গতকাল বুধবার সকাল থেকে স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা মিলে দিনভর খুঁজেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। আজ দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল তল্লাশি করে ঝরনা এলাকার একটি কূপ থেকে ভাসমান অবস্থায় সিফাতের লাশ উদ্ধার করে।

ছেলের সন্ধানে গতকাল সকাল থেকে খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় অবস্থান করছেন নিখোঁজ সিফাতুর রহমানের মা বিউটি রহমান। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আশায় ছিলাম, ছেলেকে জীবিত পাওয়ার। আজ দুপুরে ছেলের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ঝরনার কূপে আমার স্বপ্নের সমাধি হয়ে গেছে।’

মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা বলেন, গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝরনা এলাকায় ঝরনার প্রতিটি ধাপে খুঁজেও সিফাতুরের সন্ধান মেলেনি। আজ সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল তল্লাশি শুরু করে। দুপুরের দিকে ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাস্থলে থাকা মিরসরাই থানার উপপরিদর্শক সুমন কান্তি দে বলেন, ‘ঝরনা এলাকার একটি কূপ থেকে আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাতুরের লাশ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। দীর্ঘ সময় পানিতে থাকায় লাশ পচে ফুলে উঠেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব আমরা।’