পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে প্রশাসনের গায়েবানা জানাজা পড়লেন শিক্ষার্থীরা

ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানো, পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯টি দাবিতে প্রশাসনের প্রতীকী গায়েবানা জানাজা পড়েন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বিকেলে ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়প্রথম আলো

ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানো, পোষ্য কোটা বাতিল, চাকসু নির্বাচন দেওয়াসহ ৯টি দাবিতে এবার প্রশাসনের প্রতীকী গায়েবানা জানাজা পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে রোববার একই দাবিতে মানববন্ধন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দাবি মেনে নিতে প্রশাসনকে সময় বেঁধে দিয়েছিলে। নির্ধারিত সময়ে দাবি না মানায় প্রশাসনের প্রতীকী জানাজা পড়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ১২টা থেকেই শিক্ষার্থীরা মূল ফটকের সামনে জড়ো হন। পরে সাড়ে ১২টার দিকে মূল ফটকে অবরোধ করে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় তাঁরা পোষ্য কোটা বাতিল কর; আবেদন ফি ২০০ করতে হবে; শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত কর, চাকসু নির্বাচন দাও, বন্ধ হল চালু কর ইত্যাদি স্লোগানের প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের দেওয়া ৯টি দাবি হলো, ভর্তি আবেদন ফি ২০০ টাকা করা; মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা, পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য বিমা চালু করা; বন্ধ হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা, বাড়ির দূরত্ব ও ফলাফল ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দেওয়া। পাশাপাশি নতুন দুটি হল নির্মাণ করা; ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সংগঠনকে কার্যালয় বরাদ্দ দেওয়া; অনতিবিলম্বে টিএসসি নির্মাণ করা, দ্রুত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দেওয়া; প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান ও অনলাইনে ফলাফল প্রকাশসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড অনলাইনভিত্তিক করা ও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুপ্ত হামলার সুষ্ঠু বিচার ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

প্রতীকী জানাজার বিষয়ে জানতে চাইলে কর্মসূচিতে থাকা স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসির (স্যাড) সদস্যসচিব আবির বিন জাবেদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা পোষ্য কোটার জানাজা পড়তে চেয়েছিলেন। যেহেতু প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, তাই তাঁরা প্রশাসনের গায়েবানা জানাজা পড়েছেন। প্রশাসন জীবিত নেই।

শিক্ষার্থীদের এই মানববন্ধনে বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সংগঠনের নেতা–কর্মীরাও অংশ নেন। এই দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক আজাদ হোসেন, স্যাডের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র জগলুল আহমেদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক জশদ জাকির, ইসলামী ছাত্র মজলিসের সভাপতি সাকিব মাহমুদ, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে প্রমুখ।