শান্তিগঞ্জে ছাগলের মরিচগাছ খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে প্রাণ গেল কিশোরের
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় খেতের মরিচগাছ ছাগলে খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে নাইম আহমদ (১৭) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। পুলিশ এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের রনসি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নাইম আহমদ ওই গ্রামের বশির আলীর ছেলে। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামে গত বছরের ১০ জুলাই মসজিদে দান করা একটি কাঁঠালের নিলাম নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় এই ‘কাঁঠাল-কাণ্ড’। এরপর ১৪ জুলাই উপজেলার ঘোড়াডুম্বুর গ্রামে একটি ছাগল এক ব্যক্তির জমির ধান খায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন সাতজন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রনসি গ্রামের আছকন্দর আলীর একটি ছাগল প্রতিবেশী অজুদ মিয়ার খেতের কিছু মরিচগাছ খেয়ে ফেলে। বিষয়টি জানার পর অজুদ মিয়ার ছেলে ফুল মিয়া গতকাল সন্ধ্যায় আছকন্দর আলী ও তাঁর ছেলে জাবেল আহমদকে গালাগালি করেন। তখন আছকন্দর আলীর চাচাতো ভাই নাইম আহমদ এগিয়ে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু অজুদ ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যেরা সেটি না মেনে উত্তেজিত হয়ে আক্রমণ করেন। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
এতে প্রতিপক্ষের সুলফির (ধারালো অস্ত্র) আঘাতে গুরুতর আহত হয় নাইম আহমদ। তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হন আরও ছয়জন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নাইম আহমদের ভাই ছালিক আহমদ বলেন, তাঁর ভাই বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষের অজুদ মিয়া, ফুল মিয়া, জাফরুল মিয়া, এমরানুল কয়েছ, রাফিকুল মিয়া ও সুফিকুল মিয়া তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে সুলফির আঘাতে নাইমের মৃত্যু হয়।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মুক্তাদীর হোসেন আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নাইমের লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে আছে। পুলিশ এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত থানায় এ ঘটনায় মামলা হয়নি।