রংপুর কারাগারে এক কয়েদির মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা, কারারক্ষীদের ফাঁকা গুলি
রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন কয়েদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার সকাল থেকে কারাগারের ভেতরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন। রংপুরের জেলা প্রশাসকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কারাগারের ভেতরে অবস্থান করছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেলা সোয়া ১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল সোয়া ৮টার পর কারাগারের ভেতরের গাছ থেকে আমড়া পেড়ে খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজন কয়েদির মধ্যে ঝগড়া বাধে। এই দুই কয়েদি হলেন বাহার ও রফিকুল। বিবাদের একপর্যায়ে রফিকুল বাহারকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। কারাগারের নার্স এসে বাহারের শরীরের পালস পাচ্ছিলেন না। তাঁকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক বাহারকে মৃত ঘোষণা করেন।
রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে মেডিকেল মোড়ে অবস্থানরত একজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল থেকে কারাগারের ভেতর থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি। এ সময় মানুষজন ছুটোছুটি করছিল। রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলোকে থামিয়ে দেওয়া হয়। সবার মধ্যে একটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়।’
বেলা সোয়া ১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় কারাগারের ভেতর থেকে কয়েদিদের স্লোগান শোনা যাচ্ছিল।
গোলাগুলির বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, কয়েদির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারাগারের ভেতরের কয়েদিরা প্রধান ফটক ধাক্কাধাক্কি করার চেষ্টা করলে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে কারাগারে ছুটে আসেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য ঘটনাস্থলে আছেন। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চলছে।