উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে অর্থ জোগানের মামলায় প্রাক্তন পাঁচ শিক্ষার্থীকে অব্যাহতি

আদালত
প্রতীকী ছবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। এরপর ওই মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতের বিচারক সুমন ভূঁইয়া এই অব্যাহতির আদেশ দেন। সিলেট মহানগর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নওশাদ আহমদ চৌধুরী প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন

অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন টাঙ্গাইলের সখীপুরের হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়ার শিবগঞ্জের লক্ষীকোলা গ্রামের রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনার সোনাডাঙ্গার এ এফ এম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকার মিরপুরের মাজার রোডের বাসিন্দা এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) ও কুমিল্লার মুরাদনগরের নিয়ামতপুর গ্রামের ফয়সল আহমেদ (২৭)। তাঁরা সবাই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন

চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সে আন্দোলনে অর্থসহায়তা দেওয়ার অভিযোগে প্রাক্তন ৫ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে উসকানি দিয়ে অশান্ত করা এবং অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টার অভিযোগ এনে ২৫ জানুয়ারি রাতে মামলাটি করেন সিলেট জেলা তাঁতী লীগ নেতা সুজাত আহমদ লায়েক। এর আগে ২৪ জানুয়ারি রাতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়।

মহানগর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নওশাদ আহমদ চৌধুরী বলেন, মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা সিলেটের জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু খালেদ মামুন। তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ অভিযুক্ত পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পায়নি। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর আদালতের বিচারক পাঁচজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।