হাকিমপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে রেলওয়ের বুকিং সহকারীর মৃত্যু
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় রেলওয়ের নয়ন বাবু (৩৫) নামের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার লোহাচড়া গ্রামসংলগ্ন রেললাইনে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নয়ন বাবু হাকিমপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে। তিনি হিলি রেলস্টেশনের বুকিং সহকারী হিসেবে চাকরি করতেন।
কয়েক প্রত্যক্ষদর্শী ও নয়ন বাবুর পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লিলিফা বেগম প্রথম আলোকে জানান, রোববার সকালে নয়ন বাবু তাঁর বাড়ি থেকে খাবার শেষে অফিসের উদ্দেশে বের হন। বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে লোহাচড়া গ্রামসংলগ্ন রেললাইনের ওপর দিয়ে হাঁটছিলেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তর দিক থেকে একটি ট্রেন আসা দেখে রেললাইনের পশ্চিম পাশের জমিতে ঘাস কাটারত দুই নারী নয়নকে রেললাইন থেকে সরে যেতে বলেন। এ সময় তিনি কোনো কথা শোনেননি। পরে ট্রেনটি কাছাকাছি এলে নয়ন আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে রেললাইনের ওপর মাথা দিয়ে শুয়ে পড়েন। এ সময় খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাওয়ার সময় ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে নয়নের দেহ থেকে তাঁর মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে নয়নের মৃত্যুর বিষয়ে মুঠোফোনে হিলি রেলওয়ে পুলিশের তদন্তকেন্দ্রে খবর দেন। রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নয়নের লাশ উদ্ধার করে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানায় নেয়।
পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম নূরল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে এক রেলওয়ে কর্মচারীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রেলওয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ লাশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে লাশের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।