সাগরপথে মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, ৩০ শিশুসহ ৩৮ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার

সাগর পাড়ি দিয়ে মিয়ানমার থেকে অনুপ্রেবেশের সময় ৩৮ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার পুলিশছবি: প্রথম আলো

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেকে পালিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া উপকূল দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় ৩০ শিশুসহ ৩৮ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করেছে টেকনাফ থানা-পুলিশ। উদ্ধার ৩৮ জনের মধ্যে ৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী, অন্যরা শিশু।  

গতকাল বুধবার বিকেলের দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ার নোয়াখালীয়াপাড়া সাগরপথে অনুপ্রবেশের সময় তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা। পুলিশ বলছেন, সাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গারা এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা বলেন, সাগর পাড়ি দিয়ে তারা টেকনাফের বাহারছড়ার নোয়াখালীয়াপাড়া এলাকার দিয়ে দালালের মাধ্যমে অনুপ্রবেশ করছে। দালাল চক্রের লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে ৩০ শিশুসহ ৩৮ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সবাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে বিজিবির সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের সাবরাং মুন্ডারডেইল ঘাট দিয়ে একটি ট্রলারে নারী-শিশুসহ ৩৬ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির হাতে আটক হয়েছিল। পরে তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে খোঁজ–খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন। তিনি বলেন, অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ রোধ করতে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একসঙ্গে কাজ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।