লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনে দুই প্রার্থীর ভোট বর্জন
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। নির্বাচনে কারচুপি, এজেন্ট বের করে দেওয়া ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে দুই প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে এসে বেলা দেড়টার দিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. রাকিব হোসেন ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এর আধঘণ্টা পর জাকের পার্টির প্রার্থী শামসুল করিমও সংবাদ সম্মেলন করে বর্জনের ঘোষণা দেন। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম ফারুক ভোটের মাঠে আছেন।
লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ওই দুই প্রার্থী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের লোকজন সকাল থেকে কেন্দ্রে অবস্থান করে জাল ভোট দিয়েছেন অবাধে।
জাকের পার্টির প্রার্থী শামছুল করিম বলেন, ‘আমি সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ৩৫টি কেন্দ্রে পরিদর্শন করেছি। অধিকাংশ কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার না পাওয়া নির্বাচন বর্জন করেছি।’
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মিয়া গোলাম ফারুক বলেন, তাঁর কোনো কর্মী-সমর্থক অন্য প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেননি এবং বাধাও দেননি। পরাজয় নিশ্চিত জেনে তাঁরা ভোট বর্জন করেছেন।
আজ রোববার সকাল আটটায় এই উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত টানা ভোট চলবে। আসনটিতে ব্যালটে ভোট নেওয়া হচ্ছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে মিয়া গোলাম ফারুক, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ রাকিব হোসেন (লাঙ্গল), জাকের পার্টির সামছুল করিম (গোলাপ ফুল) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম মাহমুদ (আম) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনের নির্বাচনে তাঁরা সবাই নতুন মুখ।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের ১১৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ হচ্ছে। এ আসনে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৪ জন ভোটার আছেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৯ হাজার ৯৬ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪৮ জন নারী ভোটার।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল মারা যান। ৩ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ৪ অক্টোবর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
জানতে চাইলে উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোট বর্জনের বিষয় দুজন প্রার্থী আমাকে লিখিতভাবে জানায়নি।’