যশোরে যুবদল কর্মীকে হত্যার ঘটনায় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারপ্রতীকী ছবি

যশোরের ঝিকরগাছায় যুবদল কর্মী পিয়াল হাসানকে (২৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতাসহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল সোমবার রাতে খুলনার চুকনগর ও ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

নতুন করে গ্রেপ্তার দুজন হলেন, উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ঝিকরগাছা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম রেজা এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী মেহেদী হাসান। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শামীমকে ৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। এর আগে গতকাল সকালে বেনাপোল সীমান্ত ও মোবারকপুর গ্রাম থেকে মোবারকপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম ও তুষার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঝিকরগাছা থানা-পুলিশ।  

আজ মঙ্গলবার সকালে র‍্যাব-৬ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার ফ্লাইট লে. রাসেল। তিনি জানান, পিয়াল ঝিকরগাছা উপজেলার মোবারকপুর বিশ্বাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ঝিকরগাছা বাজারে মুরগির ব্যবসা করতেন। ৯ নভেম্বর দুপুরে বাজার শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় পৌর শহরের মিতালী হল রোডসংলগ্ন এলাকায় পিয়ালকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে আসামিরা। এ সময় পিয়াল প্রাণ বাঁচাতে ঝিকরগাছা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করলে সেখানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছুটে যান আসামিরা। এ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিয়ালের গলা, হাত-পা ও পিঠে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।

এ ঘটনায় ওই রাতেই পিয়ালের বাবা কিতাব আলী বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে ঝিকরগাছা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম রেজাসহ ১০ জনের নাম পরিচয় উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয়ের ছয়-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার ছায়া তদন্তে নামে র‍্যাব-৬। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

র‍্যাব জানায়, আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও ছাত্রদল নেতা শামীমের পরিবারের সঙ্গে পিয়ালের পূর্ব–শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। একই কথা জানান পিয়ালের ভাই সুমন হাসানও। তিনি বলেন, পারিবারিক বিরোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবলুর রহমান খান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন এজাহারভুক্ত ও বাকিদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।