বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের সেই অধ্যক্ষ ওএসডি
বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। রোববার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে মাউশিতে ওএসডি করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি কলেজ-২ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী ৫ নভেম্বরের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হবেন। অন্যথায় একই দিন দুপুরে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ শাহজাহান আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ছয় বছর ধরে সরকারি আজিজুল হক কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন শাহজাহান আলী। কিন্তু যোগদানের পর থেকেই নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচনায় আসেন তিনি। কলেজের ছাত্রাবাস সংস্কারের পরও খুলে না দেওয়া, পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন ছাত্রী হলে শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ না দেওয়া, বিভিন্ন খাতে ইচ্ছেমতো ফি বৃদ্ধিসহ নানা অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। সব শেষে নারী শিক্ষকদের নিয়ে কটূক্তি করে আলোচনায় আসেন তিনি।
সরকারি কলেজের শিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস শিক্ষা সমিতির একাধিক নেতা জানান, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সরকারি আজিজুল হক কলেজ মিলনায়তনে সরাসরি সম্প্রচার প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়। সেখানে সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জোহরা ওয়াহিদাকে নিয়ে অশালীন কটূক্তি করেন অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী। পরে অধ্যক্ষ জোহরা ওয়াহিদা রহমানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই তদন্তে অধ্যক্ষ শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগের সত্যতা পায় মন্ত্রণালয়। এরপরই তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।