গোসাইরহাট পৌর নির্বাচন
নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার
শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলা পৌর নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। বুধবার দুপুরে গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ বর্ধিত সভায় এই বহিষ্কার আদেশ পড়ে শোনান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে।
বর্ধিত সভায় অনল কুমার দে বলেন, ১৭ জুলাই গোসাইরহাট পৌরসভার নির্বাচন। নৌকা প্রতীকে মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা শপথ করেছিলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন না। কিন্তু গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ২ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আওয়াল সরদার নারকেলগাছ প্রতীকে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান শাহজাহান জগ প্রতীকে আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। দলের স্বার্থ, নীতি, আদর্শ, তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র এবং অঙ্গীকার-পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য প্রাথমিকভাবে ওই দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর সব পদ ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করে বহিষ্কার করা হলো এবং সব পদ থেকে খুব শিগগির তাঁদের চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হবে।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে দেওয়ান শাহজাহান বলেন, ‘শুনেছি, আমি নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় দল আমাকে প্রাথমিকভাবে বহিষ্কার করেছে। আমি লিখিত আদেশ এখনো পাইনি। এতে আমার আফসোস নেই। বহিষ্কার করুক আর যাই করুক, খেলা হবে মাঠে। কারণ, আমি ১৯৭২ সাল থেকে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু আমার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও দল চেষ্টা করেছে আমি যেন মনোনয়ন না পাই। আমি আওয়ামী লীগ করবই আর এলাকায় আমি জনপ্রিয়, জনগণ আমাকে চান, তাই আমি নির্বাচন করব এবং মেয়র নির্বাচিত হব।’
বহিষ্কারের বিষয়ে আওয়াল সরদার বলেন, ‘আমি ৩৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। আমাকে বহিষ্কার করেছে, এতে শুধু আমার দলীয় পদ চলে গেছে। তাতে কী? আমার রক্তে আওয়ামী লীগ। আমার পরিবার আওয়ামী লীগের পরিবার। ইনশা আল্লাহ আমি মেয়র নির্বাচিত হবই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এবার নৌকা প্রতীকে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারকেলগাছ প্রতীকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। ১৯৮৭ সাল থেকে আমি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ইনশা আল্লাহ, জনগণ চেয়েছেন আমি মেয়র নির্বাচিত হই। তাই এত দূর এসে বসে পড়ার পাত্র আমি নই।’