খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি অজ্ঞাত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শিক্ষার্থী অর্ণব কুমার সরকার হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলাটি করেন অর্ণবের বাবা নীতিশ কুমার সরকার।

মামলার এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ জনকে।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার জন্য নিহত অর্ণবের বাবাসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় আসেন। অর্ণবের বাবা অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহজনক হিসেবে যে তিনজনকে আটক করা হয়েছিল, আজ রোববার সকালে তাঁদের দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে ওসি জানান।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুলনা নগরের তেঁতুলতলা মোড় এলাকায় অর্ণব কুমার সরকারকে গুলি করে হত্যা করেন দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতে তেঁতুলতলা মোড়ে একটি চায়ের দোকানের সামনে মোটরসাইকেলে হেলান দিয়ে চা পান করছিলেন অর্ণব। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা এসে তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এর মধ্যে একটি গুলি অর্ণবের মাথা ভেদ করে বের হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

অর্ণবদের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার রাজনগর গ্রামে। তাঁর বাবা নীতিশ চন্দ্র সরকার একজন ঠিকাদার। তাঁরা প্রায় ১৫ বছর ধরে খুলনা নগরের বানরগাতি ইসলাম কমিশনারের মোড় এলাকায় বাড়ি করে বসবাস করছেন।

অর্ণব সরকার খুলনার বেসরকারি নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেছিলেন। মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আজ নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অর্ণব হত্যার প্রতিবাদে ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তেঁতুলতলা এলাকায় ওই মানববন্ধন হবে।