গ্যাস সরবরাহ করে যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন শুরুর দাবি ছাত্রদের
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানায় (জেএফসিএল) গ্যাস সরবরাহ করে উৎপাদন শুরুর দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কারখানাটির প্রধান ফটকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি করা হয়। গ্যাসসংকটের কারণে ১৫ জানুয়ারি থেকে দেশের সবচেয়ে বড় ইউরিয়া সার কারখানাটি বন্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক আকুল মিয়া, মুখপাত্র মো. মাহমুদুল হাসান, সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানা এটি। কারখানাটি বন্ধ থাকায় সবকিছু অচল হয়ে যাচ্ছে। কারখানার সব যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দীর্ঘদিন কারখানাটি বন্ধ থাকলে যন্ত্রপাতি মেরামত ছাড়া কারখানা চালু করা সম্ভব না–ও হতে পারে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে কারখানা চালু করা হোক।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, কারখানার গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্যাস বন্ধ করে দেয়। এতে ১৫ জানুয়ারি থেকে কারখানার উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা বন্ধ থাকায় দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া শ্রমিকেরা কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের কয়েকজন নেতা বলেন, প্রায় ১১ মাস ধরে কারখানা বন্ধ। গ্যাস সরবরাহ না থাকায় ইউরিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ। বর্তমানে কারখানাটি অলস পড়ে আছে। এতে একদিকে মূল্যবান যন্ত্রাংশগুলো নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। রেশনিং পদ্ধতিতে গ্যাস সরবরাহ করা হলেও কারখানার যন্ত্রাংশগুলো রক্ষা পাবে। শ্রমিক-কর্মচারীরাও খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারবেন।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।