ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কুমার নদের পাড়ে বসবাসকারী নদীভাঙা ৩০টি পরিবারকে এ হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের সমর্থকেরা এ হুমকি দেন বলে জানা যায়। মৌখিকভাবে এ অভিযোগ পাওয়ার পর ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এক দল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ কে আজাদ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। তিনি দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি। শামীম হক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এ কে আজাদের কর্মী লায়লা বেগম বলেন, ‘১১ নম্বর ওয়ার্ডের কুমার নদের পাড়ে নদীভাঙা ৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। এখানকার অনেকে আজাদ ভাইয়ের কর্মী ও সমর্থক। আজ দুপুরে বাদাম ব্যবসায়ী ফিরোজ ও গ্রিলমিস্ত্রি রাজু আমার বাড়িতে ঢুকে আজাদ ভাইয়ের জন্য এলাকার কাজ করে, এমন সব কর্মীর তালিকা করে নিয়ে যায়। পরে সেই তালিকা ধরে ফোন করে করে হুমকি দিচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, সেসব কর্মীর বাড়িতে গিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে হুমকি দিচ্ছে, যেন তাঁরা আজাদ ভাইয়ের মিটিং-মিছিল বা কোনো কাজে না যান। গেলে তাঁদের এখান থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।’
হুমকি পাওয়া পরিবারগুলো জানায়, হুমকিদাতা ফিরোজ ও রাজু শামীম হকের সমর্থক ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ফরিদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুনিরুল ইসলাম ওরফে মনিরের কর্মী।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর মুনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজু বা ফিরোজ আমার ওয়ার্ডের লোক হতে পারে, তবে তারা আমার লোক নয়। তবে আমি শুনেছি এ জাতীয় একটা ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। তবে আমি অভিযোগটি খতিয়ে দেখব।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ফোনে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’