স্বাধীনতা দিবসে চা-বাগানের শিশুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চা-শ্রমিক পরিবারের শিশুদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সারোয়ার হোসেন। আজ বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কালিটি চা-বাগানেছবি: প্রথম আলো

চা-শ্রমিকেরা স্বল্প মজুরি পান। তা দিয়েই টেনেটুনে চলে সংসার চলে। এসব শ্রমিক পরিবারের দেড় শতাধিক শিশু শিক্ষার্থীকে একবেলা খাওয়ানোর মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ ভাগাভাগি করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সারোয়ার হোসেন।

আজ বুধবার দুপুরের মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কালিটি চা-বাগানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজক সারোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন কুলাউড়াসহ পার্শ্ববর্তী জুড়ী উপজেলা কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কয়েক বছর আগে চাকরি থেকে অবসর নেন। বর্তমানে কুলাউড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। তাঁর বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জে।

বুধবার বেলা দেড়টার দিকে দেখা সরেজমিনে যায়, চা–বাগানের বন্ধ থাকা হাসপাতালের এক পাশে রান্নার আয়োজন করা হয়। সেখানে পাকা মেঝেতে দুই পাশে সারি ধরে শিশুরা বসেছে। তাদের সামনে প্লেট ও পানির গ্লাস রাখা। স্বেচ্ছাসেবীরা প্লেটে এক এক করে ভাত, ডিম, ডাল ও মুরগির মাংস তুলে দেন। খাওয়ার পর প্রত্যেক শিশুর হাতে চকলেট তুলে দেওয়া হয়। খুশি হয়ে বাড়ি ফিরে যায় তারা।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চা-শ্রমিক পরিবারের শিশুদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সারোয়ার হোসেন। আজ বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কালিটি চা-বাগানে
ছবি: প্রথম আলো

এ অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক ও কবি সঞ্জয় দেবনাথ। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ দাস, কৃষ্ণ দাস অলমিক, শিক্ষক শিল্পী অলমিক ও দীপা দাস স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সারোয়ার হোসেন বলেন, চাকরির সুবাদে খুব কাছ থেকে চা-শ্রমিকদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়। চা-বাগানের শিশুরা জন্মের পর থেকে অভাব-অনটনে বড় হয়ে ওঠে। তাই স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাগানের শিশু শিক্ষার্থীদের খাবার খাওয়ানোর উদ্যোগটি নেন।