সিলেটে ছাত্রলীগ নেতাকে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ, তিন ব্যবসায়ীসহ আটক ৪
সিলেটে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে এক বিপণিবিতানের কয়েকজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিন ব্যবসায়ীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকার ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড শপিং সিটি নামের বিপণিবিতান থেকে ওই চারজনকে আটক করা হয়। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় জনতা সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকার ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড শপিং সিটিতে জুলাই আন্দোলনে হামলাকারী ছাত্রলীগের জাবেদ মিয়া নামের এক নেতাকে দেখা যায়। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ আসার আগেই সেই নেতাকে বিপণিবিতানের কয়েকজন ব্যবসায়ী নিরাপদে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। এমন খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা সেখানে যান। এ সময় জিন্দাবাজার এলাকায় ভিড় জমে। জাবেদ মিয়ার বাড়ি দক্ষিণ সুরমায়। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামের সঙ্গে চলাফেরা ছিল জাবেদের। তবে তাঁর সাংগঠনিক পদের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতারা ছাত্রলীগের ওই নেতাকে পালিয়ে যেতে সহায়তাকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। একপর্যায়ে পুলিশ বিপণিবিতানের তিন ব্যবসায়ী ও এক বহিরাগতসহ চারজনকে আটক করে নিয়ে যায়। ছাত্রনেতাদের দাবি, যাঁকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করা হয়েছে তিনি গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আহত করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে।
আটক চারজনের মধ্যে বিপণিবিতানের তিন ব্যবসায়ী হলেন রায়হান আহমদ, জুনেদ আহমদ ও ফরহাদ আহমদ। অপরজন বহিরাগত, তাঁর নাম ওমর ফারুক। সিলেট কোতোয়ালি থানার এসআই আজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিপণিবিতানের তিন ব্যবসায়ী ও একজন বহিরাগতসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।