সিরাজগঞ্জে জামিনে মুক্তির পর সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল আজিজকে হেনস্তা-মারধর

সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল আজিজ জামিনে কারামুক্ত হওয়ার পর কারা ফটকের সামনে তাঁকে হেনস্তা ও মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল আজিজকে জামিনে কারামুক্ত হওয়ার পর কারা ফটকের সামনে হেনস্তা ও মারধর করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটার পর সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সাবেক এই সংসদ সদস্যকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আবদুল আজিজ হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক মামলায় জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। তিনি এখন সিরাজগঞ্জ সদর থানা–হাজতে পুলিশ হেফাজতে আছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুনতাসীর মেহেদীর নেতৃত্বে একদল ব্যক্তি সাবেক এই সংসদ সদস্যকে মারধর করেন বলে জানা গেছে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন আবদুল আজিজের শার্টের কলার টেনে ধরে জোরপূর্বক গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল আজিজ ছাড়া পেয়েছেন—এমন খবরে লোকজন সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এরপর আবদুল আজিজ জেলা কারাগার থেকে বের হলে সবাই তাঁকে ঘিরে ধরেন। তাঁকে টানাহেঁচড়া করে হেনস্তা ও মারধর করা হয়। জোরপূর্বক গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক মুনতাসীর মেহেদী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগের সরকারের সময়ে যাঁরা বিরোধী রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের একটা মামলায় জামিন দেওয়া হলে আরও ১০–১২টা মামলা দিয়ে কারা ফটক থেকেই আবার গ্রেপ্তার করা হতো। নতুন বাংলাদেশের জন্য আমার শহীদ ভাইয়েরা জীবন দিয়েছেন, এরপরও নতুন বাংলাদেশকে আমরা যদি এ রূপে দেখতে পাই, তাহলে সেটা দুঃখজনক।’

সিরাজগঞ্জ জেলা কারা সুপার কামরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, দুই দিন আগে হাইকোর্ট থেকে আবদুল আজিজের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। বিকেলে সিরাজগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে সেই আদেশ তাঁদের কাছে এসেছে। আদেশ হাতে পাওয়ার পর সেটি পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে কিছুটা সময় লাগে। পরে রাত আটটার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

সিরাজগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনায়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে সেনাবাহিনী অবগত ছিল না। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল দ্রুত তাঁকে (সাবেক সংসদ সদস্য) পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে উদ্যোগ নেয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, লোকজন রাত ৯টার দিকে আবদুল আজিজকে থানায় সোপর্দ করেছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন