বাবা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কর্মকর্তা। তাঁর ছেলেকে অপহরণ করে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করতে চেয়েছিল একটি অপরাধী চক্র। এ জন্য তারা প্রায় ১৫ দিন ধরে পরিকল্পনা করে। তবে অপহরণ করলেও টাকা আদায় করতে পারেনি ওই চক্রটি। অপহরণের প্রায় তিন ঘণ্টা পর সেই স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় স্কুলছাত্র প্রতীক সরকারকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচ ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (দোহার সার্কেল) আশরাফুল আলম।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাত ১১টায় নবাবগঞ্জ থানায় স্কুলছাত্রের পরিবার পাঁচজনের নামে মামলা করে। আজ সকালে পাঁচ আসামিকে আদালতে নিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, অপহৃত প্রতীকের বাবা সঞ্জয় সরকার স্থানীয় পর্যায়ে একটি এনজিও পরিচালনা করেন। ছেলেকে অপহরণ করে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করাই ছিল এ চক্রের মূল টার্গেট।
অপহরণের শিকার প্রতীক নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের ঘোষপাড়া এলাকার সঞ্জয় সরকার ও লতা সরকারের ছেলে। সে বান্দুরা হলিক্রস উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। গতকাল সকাল ৯টার দিকে বিদ্যালয়ের যাওয়ার অপহৃত হয় সে। পরে দুপুর ১২টার দিকে দোহার থানার সীমান্তবর্তী সাইনপুকুর তদন্তকেন্দ্রসংলগ্ন এলাকায় একটি প্রাইভেট কার থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
এ মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পারভেজ আহমেদ (৪০), রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার মোক্তার হোসেন আকাশ (৩৯) ও জুরাইন পশ্চিম ধোলাইপাড়ের জুম্মন খান (৪১), মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার আতিক হালদার (৪৪) ও চাঁদপুরের মো. মিজান (৫৩)।
সংবাদ সম্মেলনে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম, পরিদর্শক তদন্ত আজগর হোসেন ছাড়াও প্রতীকের মা-বাবা উপস্থিত ছিলেন।