সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষে আহত ছাত্রদল নেতার মৃত্যু, বিএনপির ২ নেতার পদ স্থগিত
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ইফতার মাহফিলের আয়োজন নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ছাত্রদল নেতার মৃত্যুর পর দলটি স্থানীয় দুই নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি।
পদ স্থগিত হওয়া নেতারা হলেন চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির (জনি সাইদুল) ও সাবেক সদস্যসচিব মঞ্জু রহমান (মঞ্জু শিকদার)। গতকাল বুধবার রাতে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, এনায়েতপুরে বালুমহাল ও ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাবেক ছাত্রদল নেতা কবির হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়ে নাম আসায় থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির জনি ও সাবেক সদস্যসচিব মঞ্জু রহমানের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ স্থগিত করা হলো। এ ছাড়া ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হলো। তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মকবুল হোসেন, সহসভাপতি নাজমুল হাসান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর কায়েম।
গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিলের আয়োজনের কথা ছিল। একে কেন্দ্র করে দলটির দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হন। পরে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে গতকাল রাত আটটার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কবির হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘এই সংঘর্ষের ঘটনায় আমি জড়িত নই। তবু আমাকে পদ স্থগিতের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, এটি আমার ওপর চরম অন্যায় করা হয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য কবিরের লাশ সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন ইয়াজদানি। তিনি বলেন, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে কবিরের লাশ ঢাকা থেকে এনায়েতপুর থানায় আনা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।