নরসিংদীতে ছুরিকাঘাতে একজন নিহত, হাতেনাতে অভিযুক্ত আটক

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, গত ইউপি নির্বাচনে উজ্জ্বল মিয়া ফুটবল প্রতীক নিয়ে ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অন্যদিকে ইলিয়াস মিয়া ছিলেন তাঁর প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থক। এ নিয়ে ইলিয়াসের ওপর উজ্জ্বলের ক্ষোভ ছিল। এ ছাড়া সম্প্রতি একটি সালিস মীমাংসা নিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর জেরে এই হত্যাকাণ্ড বলে স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ইলিয়াস গতকাল আসরের নামাজ আদায় করতে বাড়ির কাছের মসজিদে গিয়েছিলেন। নামাজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন উজ্জ্বলকে হাতেনাতে আটক করেন। ইলিয়াসকে উদ্ধার করে পাশের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। রায়পুরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় ব্যক্তিরা উজ্জ্বলকে তাদের কাছে সোপর্দ করেন।

নিহত ইলিয়াস মিয়ার ছেলে খায়রুল ইসলামের দাবি, ইউপি নির্বাচনে প্রতিপক্ষের কর্মী হয়ে কাজ করায় তাঁর বাবার প্রতি উজ্জ্বলের ক্ষোভ ছিল। এর জেরেই এই হত্যাকাণ্ড।

জানতে চাইলে রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার বলেন, নিহত ইলিয়াসের লাশ ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। নিহত ইলিয়াসের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তা মামলা হিসেবে নেওয়া হবে। আটক ব্যক্তিকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।