মেহেরপুরে চলছে শিখো-প্রথম আলো জিপিএ-৫ সংবর্ধনা
মেহেরপুরে চলছে শিখো-প্রথম আলো জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। আজ শনিবার সকাল থেকে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া কয়েক শ কৃতী শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
আজ সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে এর আগেই দল বেঁধে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আসতে থাকে শিক্ষার্থীরা। তাদের কলরব ও উচ্ছ্বাসে পূর্ণ হয়ে ওঠে সংবর্ধনাস্থল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু সাঈদ, সঞ্চালনা করেন মেহেরপুর বন্ধুসভার সভাপতি ও সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন।
দেশের ৬৪ জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখোর’ পৃষ্ঠপোষকতায় জিপিএ-৫ উৎসব হচ্ছে। এবারের উৎসবটি পাওয়ার্ড বাই ‘বিকাশ’। সহযোগিতা করছে কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।
পৌর শহরের ফৌজদারিপাড়ার বাসিন্দা মালিহা জান্নাত এবার মেহেরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে বলে, ‘জিপিএ–৫ পাওয়ার পরে এই প্রথম মনে হচ্ছে আমরা কৃতী শিক্ষার্থী। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে খুব ভালো লাগছে। একরকম অনুপ্রেরণা তৈরি হচ্ছে ভবিষ্যতে আরও ভালো করে পড়াশোনার জন্য।’
গাংনী উপজেলার পোড়াপাড়া গ্রাম থেকে এসেছে লুবনা আহসান। সে বলে, ‘অনুষ্ঠানে এসে খুব ভালো লাগছে। আমার সঙ্গে আমার মাও এসেছে। সব চেয়ে ভালো লেগেছে সমবেত নৃত্য। প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই রকম আয়োজনের জন্য।’
দিনব্যাপী আয়োজিত এই সংবর্ধনায় শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, প্রথম আলো ই-পেপার (১ মাস) ও চরকির (১৫ দিন) সাবস্ক্রিপশন, শিখোর সৌজন্যে বিনা মূল্যে কোর্স এবং ফ্রেশ ব্র্যান্ডের স্ন্যাকস।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শফিউল আলম সর্দার, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়ায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক তৌহিদী হাসান, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে গান ও নাচ পরিবেশন করেন শিল্পীরা। বন্ধুসভার উপদেষ্টা জেলা শিল্পকলার নৃত্যপ্রশিক্ষক সাব্বির হোসেনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক পর্বে কৃতী শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।