এবার কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কালো ডিম পাড়ল পাতিহাঁস
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে একটি দেশি পাতিহাঁস কালো ডিম পাড়ছে। উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের পূর্ব নারায়ণপুর পরামানিক পাড়ার একটি বাড়িতে গত শনি ও রোববার হাঁসটি দুটি ডিম পেড়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা ওই ডিম দেখতে আসছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামে এটাই প্রথম হাঁসের কালো ডিম পাড়ার ঘটনা। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ভোলার চরফ্যাশনে একটি দেশি পাতিহাঁস কালো ডিম পেড়েছিল।
হাঁসটির মালিক ওই গ্রামের মো. ইব্রাহিম ও রেহানা বেগম দম্পতি। ইব্রাহিম বলেন, ছয় মাস আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে পাঁচটি দেশি পাতিহাঁস উপহার পেয়েছিলেন। বাড়িতে এগুলো দেখভাল করেন তাঁর স্ত্রী। গত শনিবার সকালে হাঁসের খোপর (হাঁস রাখার স্থান) খুলে দেখেন কুচকুচে কালো ডিম। পরদিন রোববার আরেকটি কালো ডিম দেয় হাঁসটি। প্রথমবারের মতো হাঁসটি ডিম পাড়ছে। গতকাল সোম ও আজ মঙ্গলবার আর কোনো ডিম দেয়নি।
এ সম্পর্কে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশিকুজ্জামান বলেন, নারায়ণপুরে হাঁসের কালো ডিম পাড়ার সংবাদ শুনেছি। কালো ডিম খেলে কোনো ক্ষতি হয় না। তবে তাঁদের কাছে একটি কালো ডিম চেয়েছি। এটা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠাতে চাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক এক প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, হাঁসের ডিম সাধারণত সাদা রঙের হয়। কিন্তু কালো ডিম দেওয়া খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়। প্রথমবার ডিম পাড়ার সময় এমন হতে পারে। এটা সচরাচরই হয়। পরে ঠিক হয়ে যায়।
ইব্রাহিমের প্রতিবেশী আবদুল আজিজ বলেন, হাঁসটি দুটি ডিম পেড়েছে। দুটিই কালো রঙের। এমন ডিম আগে দেহি নাই।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ইউনুস আলী বলেন, হাঁসের কালো ডিম পাড়ার বিষয়টি জেলায় এটাই প্রথম বলে জেনেছি। জেনেটিক কারণে ডিমের রং এমনটা হয়ে থাকতে পারে। পরে আবার স্বাভাবিক রঙের ডিমও আসতে পারে। অন্তত এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।