টানা ৩ দিনের ছুটিতে সুন্দরবনের করমজলে পর্যটকদের ভিড়
সাপ্তাহিক ও শবে মিরাজের ছুটিসহ টানা তিন দিনের ছুটিতে সুন্দরবনের করমজলে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার থেকেই এই ভিড় বাড়তে শুরু করে।
আগত পর্যটকেরা ট্রলার ও লঞ্চে করে বনের নানা প্রান্তে গিয়ে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবনের সৌন্দর্য। আজ শনিবারও পর্যটকদের ভিড় সামলাতে বনরক্ষীদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। আগামীকাল রোববার চাপ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন করমজল পর্যটনকেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
করমজল পর্যটন স্পটে আজ কথা হয় সুন্দরবনে ঘুরতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনির্বাণ মহলদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অভিজ্ঞতা খুবই চমৎকার। শুধু বই পড়ে পড়ে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপলব্ধি করা যায় না। আমরা এখানে না এলে বুঝতেই পারতাম না সুন্দরবন আসলেই কত সুন্দর! পরতে পরতে বৈচিত্র্য আমাদের হাতছানি দিয়েছে। অনেক কিছু শেখার আছে এখান থেকে।’
ঢাকার মুন্সিগঞ্জ থেকে করমজলে বেড়াতে আসা সেখানকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পান্না বেগম বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়াতে আমরা পরিবারের সবাই মিলে সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য অল্প সময়ে আসতে পেরেছি। সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি শবে মিরাজের ছুটি পেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম আমরা।’
যশোর থেকে সুন্দরবনে বেড়াতে আসা কয়েকজন খুদে স্কুলশিক্ষার্থী জানায়, সুন্দরবনে এসে তারা সবাই খুব খুশি। ওয়াচ টাওয়ারে চড়ে তারা অনেক দূর পর্যন্ত সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছে। বাঘের পায়ের ছাপ দেখে তারা অবাক হয়েছে।
করমজল পর্যটন ও বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘সাপ্তাহিক ও শবে মিরাজের টানা ছুটিতে করমজলে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। ছুটির প্রথম দিন গতকাল প্রায় তিন হাজার পর্যটক এসেছেন এখানে। পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ সহজ হওয়ায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীকাল শবে মিরাজের ছুটিতেও পর্যটকদের চাপ থাকবে। ছুটির এই তিন দিনে অন্যান্য দিনের চেয়ে রাজস্ব ভালো আদায় হবে।
ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ী গোলাম রহমান বিটু বলেন, টানা তিন দিনের ছুটির প্রথম দিন গতকাল সকাল থেকে দেড় শতাধিক ট্রলার ও লঞ্চ সুন্দরবনের ভেতরে প্রবেশ করেছে। এসব নৌযানে তিন হাজারের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছেন।