সংস্কারের নামে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবেন না: আমীর খসরু

লক্ষ্মীপুরে বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বিকেলে লক্ষ্মীপুর আউটার স্টেডিয়ামেছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, ‘সংস্কারের নামে নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁদেরকে বলছি, আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গিয়ে সংস্কার করব। আমরা সকলে মিলে ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করব। জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমরা। সংস্কারের নামে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবেন না।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে লক্ষ্মীপুর আউটার স্টেডিয়ামে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে আমীর খসরু এ কথা বলেন। এর আগে বেলা তিনটা থেকে এ সমাবেশ শুরু হয়।

নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো এবং দ্রুত নির্বাচনী রূপরেখা ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি।

দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে একটাই, নির্বাচিত সরকারের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা তুলে দিয়ে বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করা। আবার বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। সব সংস্কার জাতীয় সংসদে হবে।’

আমীর খসরু আরও বলেন, বাংলাদেশের যেকোনো পরিবর্তনের ক্ষমতা জনগণের। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা নেই। তাঁরা যদি মনে করেন নির্বাচিত সরকারের জায়গায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন, এর চেয়ে বড় ভুল আর কিছু হবে না।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ১৬ বছর যুদ্ধ করেছি বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। যখনই মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে, তখন দেখছি কিছু শক্তি বাংলাদেশের মালিকানা বিশ্বাস করে না। তাদের বিশ্বাস হচ্ছে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা, ক্ষমতায় থাকা এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করা। তারা চাচ্ছে আনুপাতিক হারে নির্বাচন হতে হবে। আনুপাতিক হারের যদি নির্বাচন হতে হয় সে সিদ্ধান্ত তো জনগণ নেবে।’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম।

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।