ঝাড়ফুঁকের অজুহাতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ, কবিরাজ গ্রেপ্তার
ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে রোগ সারানোর নামে ভুট্টাখেতে নিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক কবিরাজের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর করা মামলায় ওই কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত কবিরাজের নাম আলাল উদ্দিন (৫০)। তিনি উপজেলার জয়নগর গ্রামের মৃত জহর বয়াতির ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার নামে সহজ-সরল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে আলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর (২০) একমাত্র সন্তান ১৪ মাস বয়সী মেয়ের কয়েক দিন ধরে পাতলা পায়খানা ও বমি হচ্ছিল। এ জন্য কবিরাজ আলাল উদ্দিনের শরণাপন্ন হন তিনি। পূর্বপরিচিত ওই কবিরাজ গৃহবধূকে জানান, মেয়েকে পানিপড়া দেওয়াসহ ঝাড়ফুঁক (স্থানীয়দের ভাষায় ধারানি) করতে হবে। পাশাপাশি ওই গৃহবধূকেও ঝাড়ফুঁক করতে হবে।
ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে কবিরাজ আলাল উদ্দিন ওই গৃহবধূর বাড়িতে যান। রাত তিনটার দিকে গৃহবধূ ও তাঁর মেয়েকে ঝাড়ফুঁক দেওয়ার জন্য বাড়ির কাছে একটি পুকুরে কাছে নিয়ে যান। একপর্যায়ে আলাল উদ্দিন তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পাহারা দিতে পাঠান গৃহবধূর স্বামী ও তাঁর মেয়েকে। এরপর আলাল উদ্দিন কৌশলে গৃহবধূকে পাশের ভুট্টাখেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনার বিষয়ে কাউকে জানালে কবিরাজ গৃহবধূর স্বামী ও মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। সেই সঙ্গে ধর্ষণের পর কবিরাজ ওই গৃহবধূকে পুকুরের পানিতে গোসল করতে বলেন। গোসলের পর তাঁর পরনের জামাকাপড় পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ওই গৃহবধূ বাড়িতে ফিরে স্বামীর কাছে ধর্ষণের ঘটনা জানান।
এ ঘটনায় আজ দুপুরে গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে কবিরাজ আলাল উদ্দিনকে আসামি করে থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। এ মামলায় আলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম মোল্ল্যা।