সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৯৮৬ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৭
সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৯৮৬ নেতা–কর্মীকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা, ককটেল নিক্ষেপ, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
গতকাল শনিবার রাতে সদর থানায় করা মামলা দুটিতে ৩৮৬ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আবদুল জব্বার, শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর শাহরিয়া শিপু, কামারখন্দ সরকারি হাজী কোরব আলী কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামিম রেজাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকালে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজারে ১২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, সরকারি কাজে বাধা, ককটেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর রাতে পৃথক দুটি মামলা করা হয়।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম ও কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
উভয় মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আবদুল জব্বারকে ১ নম্বর আসামি এবং ১৯৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অর্থাৎ দুই মামলায় মোট আসামি ৯৮৬ জন।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল সকালে কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকায় সিরাজগঞ্জ-সয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কে আমাদের পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালান। পরে আমাদের নেতা–কর্মীদের বাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়। অথচ আমাদের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ। এর পরিণাম শুভ হবে না।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তি সমাবেশের জন্য পাইকপাড়া মোড়ে সমবেত হন। এদিকে পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও সেখানে জড়ো হন।
উভয় দলের নেতা-কর্মীরা মুখোমুখি হলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সড়কের ওপর থাকা ১৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং বেশ কিছু দোকান ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।