স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারে সহকারী প্রোগ্রামার পদে একজনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খানকে সভাপতি করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটিকে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারে সহকারী প্রোগ্রামার পদে একটি অ্যাডহক নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) ফরিদ উদ্দিন খানকে সভাপতি করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব আজ এই কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটি ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন পেশ করবে।
গত ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারে সহকারী প্রোগ্রামার পদে মোমেন খন্দকার অপি নামের একজনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেন উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শেখ সাদ আহমেদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়োগ দেওয়ার সময় তাঁর স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়নি। নিয়োগের প্রায় এক মাস পর ১২ ডিসেম্বর তাঁর চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে তিনি সিজিপিএ-৩.২০ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। মোমেন খন্দকার বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ নিয়ে গত বুধবার প্রথম আলো অনলাইনে ‘স্নাতকের ফল প্রকাশের আগেই প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ওই নিয়োগসহ অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে মোট চারজনের নিয়োগ বাতিল ও অ্যাডহক (অস্থায়ী) নিয়োগপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।