জয়পুরহাট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি বাতিল চেয়ে পদবঞ্চিতদের মশালমিছিল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জয়পুরহাট জেলা শাখার নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে এবার মশালমিছিল করেছে পদবঞ্চিত অংশ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় শহরের শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দান থেকে পদবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা একটি মশালমিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাটার মোড় হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।
পদবঞ্চিতদের পক্ষে সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা (জেলায় তখন সমন্বয়ক কমিটি ছিল না) শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দিন, আশরাফুল ইসলাম ও রিমু হোসেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী শাকিল ইসলাম, শাহিন হোসেন, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিমু হোসেন বলেন, ‘জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি করে ছাত্রলীগকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে যাঁরা ছাত্রলীগের দালালি করেছেন, ডামি নির্বাচনে সহায়তা করেছেন, তাঁদের নিয়ে এই কমিটি করা হয়েছে। আন্দোলনকারী ছাত্রদের এতটাই আকাল পড়েছে যে ছাত্রলীগ দিয়ে কমিটি দিতে হবে! প্রথম দিনের আন্দোলনে কারা ছিলেন, সেটা আপনারা দেখেছেন।’ রিমু হোসেন আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবি জানান।
বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আন্দোলন-সংগ্রামে যাঁরা ছিলাম, তাঁদের কমিটিতে রাখা হয়নি। আমাদের কমিটির কথা জানানোই হয়নি। আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে কমিটির কথা জানতে পেরেছি। আমাদের ভাইয়েরা প্রথম থেকে আন্দোলন করে বিজয় পর্যন্ত ছিলেন। তাঁদের কেউ এই কমিটিতে নেই। আপনারা আন্দোলনের ফুটেজ দেখেন। আমরা এই কমিটি মানি না। এই কমিটি বাতিল করতে হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল জয়পুরহাট জেলা কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটি ঘোষণার পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১২টায় শহরের শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে কমিটি বাতিলের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়। এদিন একই সময়ে জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটির নেতারা। সংবাদ সম্মেলন শেষে তাঁরা সংগঠনের নতুন কমিটির সবার নাম প্রকাশ করেন।
সে সময় কমিটি নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক বলেন, ‘জেলা কমিটি ঘোষণা নিয়ে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যারা আন্দোলনের সময় আমাদের সঙ্গে ছিল এবং পরবর্তী সময়েও যারা সব কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে, তারা আমাদের সঙ্গে আছে। এ ছাড়া যাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে পারিনি, আমরা তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’