দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন আম্পায়ারের মরদেহ হস্তান্তর

গতকাল সন্ধ্যা সিলেটের তামা‌বিল ইমিগ্রেশনে নাজিব ইসমাইলের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়ছবি: প্রথম আলো

ভারতের গুয়াহাটিতে একটি প্রতিযোগিতায় গিয়ে সম্প্রতি মারা যান বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন আম্পায়ার নাজিব ইসমাইল রাসেল (৫২)। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সিলেটের তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে তাঁর মরদেহ দেশে পাঠানো হয়।

গত শনিবার ভারতের গুয়াহাটিতে একটি ব্যাডমিন্টন খেলায় আম্পায়ারিংয়ের জন্য গিয়েছিলেন নাজিব ইসমাইল রাসেল। তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সেখানে তিনি একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন। খেলা শুরুর সময় তাঁকে না দেখতে পেয়ে কয়েকজন হোটেলে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ওই কক্ষ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে গতকাল সন্ধ্যা রাত সাতটার দিকে নাজিবের মরদেহ তামাবিল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে হস্তান্তর করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও মেঘালয় রাজ্যের ওয়েস্ট জৈন্তিয়া হিলস জেলার ডাউকি থানার পুলিশ। পরে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিজিবি ও বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে।

ভারত থেকে হস্তান্তরের পর পরিবারের পক্ষ থেকে মরদেহটি বুঝে নিয়েছেন নাজিব ইসমাইলের চাচাতো ভাই শামীম হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ এসআই শামীম মিয়া বলেন, ভারতের পুলিশ নাজিব ইসমাইলের মরদেহ ময়নাতদন্ত করে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে। তারা জানিয়েছে, এক মাস পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাঠাবেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

নাজিব ইসমাইল রাসেল বিশ্ব ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার ছিলেন। প্রতি মাসেই বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে আম্পায়ারিং করতেন। বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।