গাজীপুরে দুই কারাগারের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, পরিস্থিতি স্বাভাবিক

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার এলাকায় সাজোয়া যান নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন সেনাবাহিনী সদস্যরা। আজ শুক্রবার সকালেছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়া ও জেলা কারাগারে বন্দীদের বিক্ষোভের ঘটনার পর দুই কারাগারের নিরাপত্তায় রয়েছে সেনাবাহিনী। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুটি কারাগারের প্রধান ফটকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাঁজোয়া যান নিয়ে সশস্ত্র অবস্থান করছেন। ফলে কারাগার দুটিতে এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নতুন করে কোনো ‘বিদ্রোহ’ দেখা দেয়নি।

কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর সারা দেশে ১ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিকভাবে বন্দীদের মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়। এর পর থেকেই কারাগারগুলো থেকে তাঁদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় মাদক, জঙ্গি ও হত্যা মামলায় বন্দীরা কারাগারের ভেতরে মুক্তি দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করেন এবং কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করেন।

আরও পড়ুন

গত মঙ্গলবার কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা বন্দীরা বিদ্রোহ করেন। এ সময় কারারক্ষীরা তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। কারাগারের দেয়াল টপকে পালিয়ে যান ২০৯ বন্দী। পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলিতে নিহত হন জঙ্গিসহ ছয় বন্দী। পরে সেনাবাহিনীর অল্পসংখ্যক সদস্য তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়া গেলে বেলা দেড়টার দিকে অতিরিক্ত আরও সেনাসদস্য হেলিকপ্টারযোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দীদের নিয়ন্ত্রণ করেন।

এ ঘটনার পর কারাগারের ভেতরে–বাইরে অতিরিক্ত সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামি পলায়নের ঘটনায় হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুব্রত কুমার বালাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

কাশিমপুরসহ দেশের অন্যান্য জেলে বিদ্রোহের খবর শুনে গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলা কারাগারের ভেতরে হত্যা ও মাদক মামলার আসামিরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে রাবার বুলেট ছোড়া হয়। এতে কারারক্ষীসহ অন্তত ১৬ জন আহত হন। এর পর থেকেই কারাগারে অতিরিক্ত সেনাসদস্য মোতায়েন রয়েছেন।

গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ারুল করিম জানান, কারারক্ষীদের পাশাপাশি কারাগারের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

আরও পড়ুন